এবার ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীর

এবার ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীর

ইসরায়েলের গুপ্তহত্যার জবাবে দেশটির উত্তরের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) উত্তর ইসরায়েলের সাফেদের সেনা সদর দপ্তরে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। খবর রয়টার্সের।

হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে লেবাননের বৈরুতে হামাসের উপপ্রধান সালেহ আল আরুরি এবং সোমবার হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার উইসাম তাভিলকে হত্যার জবাবে এ ড্রোন হামলা চালিয়েছে তারা। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সাফেদের সেনা সদর দপ্তরে হামলার ঘটনা ঘটল।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্রও হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, উত্তর ইসরায়েলের একটি সামরিক ঘাঁটিতে বিমান হামলা হয়েছে। তবে ঠিক কোথায় হামলা হয়েছে তা তিনি জানাননি। হামলা হলেও এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবি করেন ইসরায়েলি মুখপাত্র। ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহত নিয়ে কোনো গণমাধ্যমও তথ্য দিতে পারেনি।

গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তজুড়ে ইসরায়েলের সাথে প্রায় প্রতিদিনই গুলি বিনিময় করছে হিজবুল্লাহ। আজ মঙ্গলবারও দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় তিন হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালালেও হিজবুল্লাহর উপপ্রধান নাইম কাসেম বলেছেন, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ চান না। তবে ইসরায়েল যদি যুদ্ধ লেবাননে সম্প্রসারণ করে তাহলে ইসরায়েলকে ঠেকাতে তাদের জবাব দেওয়া অনিবার্য হয়ে পড়বে।

এর আগে গত ২ জানুয়ারি বৈরুতে ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের উপপ্রধান সালেহ আল আরৌরি নিহত হন। নিহত আল আরৌরি হামাসের পলিট ব্যুরোর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি সংগঠনটির সামরিক বিষয়ে গভীরভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। গত নভেম্বরে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার সাময়িক যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তির একজন প্রধান আলোচক ছিলেন তিনি।

এরপর সোমবার (৮ জানুয়ারি) দক্ষিণ লেবাননের মাজদাল সেলম গ্রামে ইসরায়েলের বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর এলিট ফোর্স রাদওয়ান বাহিনীর উইসাম তাভিল নিহত হন। তিনি রাদওয়ান বাহিনীর একটি ইউনিটের উপপ্রধান ছিলেন।

তাদের দুজনের হত্যাকাণ্ডের পর ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা পেরিয়ে মধ্যপ্রাচ্যর অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার যে শঙ্কা এতদিন ছিল তা আরও বেড়ে যায়। লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ক্যান্ডিস আরডিয়েল বলেছেন, গত কয়েকদিনে আমরা আরও গভীর হামলা দেখেছি, যা উদ্বেগজনক একটি প্রবণতা।

More News...

সরাসরি বিতর্কে মুখোমুখি হবেন বাইডেন-ট্রাম্প

গাজায় নিহতদের ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু: জাতিসংঘ