মার্কিন পপ তারকা সুইফট একের পর এক কনসার্ট করে যাচ্ছেন। ফলে জনপ্রিয়তার নতুন উদাহরণ তৈরি করছেন তিনি, যা ইতিহাস সৃষ্টির পথে। তার কনসার্টের মাধ্যমে আমেরিকার অর্থনীতিতেও দারুণ ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
বর্তমানে সুইফট তার আলোচিত ‘এরাস’ কনসার্ট ট্যুরে রয়েছেন। যা শুরু হয়ে হয়েছে ১৭ মার্চ থেকে। ট্যুরের অংশ হিসেবে প্রায় দেড়শ কনসার্ট করবেন গায়িকা। আগামী কনসার্টগুলো ঘিরে এরইমধ্যে তুমুল উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। টিকিট নিয়ে রীতিমতো কাড়াকাড়ি শুরু হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, টেইলর সুইফটের জনপ্রিয়তার প্রভাব কতখানি, তা বোঝা যাচ্ছে। শুধু বিনোদনই নয়, তার এসব কনসার্টের মাধ্যমে আমেরিকার অর্থনীতিতেও দারুণ ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
‘এরাস’ ট্যুরে আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়া মিলিয়ে মোট ১৪৬টি কনসার্ট করবেন সুইফট। এর মধ্যে উত্তর আমেরিকায় করবেন ৬৮টি কনসার্ট। ইতোপূর্বে সম্পন্ন হওয়া কনসার্টগুলোতে বিক্রি হওয়া টিকিটের গড় মূল্য ৪৫৫ ডলার এবং প্রতিটি কনসার্টে গড়ে ৭২ হাজার ৪৫৯ জন দর্শক-শ্রোতা উপস্থিত ছিলেন। সেই হিসাবে উত্তর আমেরিকার ৬৮ কনসার্টের টিকিট বিক্রির পরিমাণ ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
সর্বোচ্চ আয়ের কনসার্ট ট্যুরের রেকর্ড ছিল এল্টন জনের দখলে। ২০১৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত উত্তর আমেরিকায় তার ‘ফেয়ারওয়েল ইয়োলো ব্রিক রোড’ ট্যুরের ৮৮৭ মিলিয়ন ডলারের টিকিট বিক্রি হয়েছে।
শুধু টিকিট বিক্রিতেই নয়, টেইলর সুইফটের কনসার্ট ঘিরে আরও বিভিন্ন খাতে ব্যবসার জোয়ার আসে। কনসার্টে যাওয়ার জন্য পোশাক, গায়িকার মার্চেন্ডাইজ, খাবার ও পানীয় কেনার জন্য একেকজন শ্রোতা প্রায় ৭০০ মার্কিন ডলার খরচ করেন। এছাড়া যাতায়াত ও থাকার পেছনেও তাদের অনেক অর্থ ব্যয় হয়। যা এই সংক্রান্ত বাণিজ্যে বড় প্রভাব ফেলে।
‘সিটগিক’ নামের একটি টিকিট ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের কর্তা ক্রিস লেইডেন বলেন, “টেইলর সুইফটের ‘এরাস’ কনসার্ট বিনোদন অর্থনীতির ইতিহাস নতুন করে লিখছে। তিনি শুধু একজন পারফর্মারই নন, তিনি অর্থনৈতিক বিস্ময়!’’