বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনে সবচেয়ে বেশি আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেওয়া ক্রিকেটার কে? এই প্রশ্নের উত্তর একটিই সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাকিবের অবদান অনেক। তবে এটি অস্বীকার করার উপায় নেই দেশের প্রথম এই বৈশ্বিক সুপারস্টারের মাঠ এবং মাঠের বাইরের কর্মকাণ্ড আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয় হরহামেশাই। আজ যেমন বিশ্বকাপের ম্যাচে তার করা আবেদনে বিশ্ব ক্রিকেট দেখল প্রথম টাইমড আউটের ঘটনা। এই আউট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে বিস্তর আলোচনা ও সমালোচনা।
আইসিসির নিয়মে টাইমড আউট থাকলেও এর প্রয়োগ এতদিন দেখেনি ক্রিকেট বিশ্ব। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম আউটের ঘটনা আজ দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ক্রিজে আসার দুই মিনিটের মধ্যে বল খেলতে না পারায় সাকিব আম্পায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আম্পায়ার ম্যাথুসকে আউট ঘোষণা করেন।
অবশ্য ম্যাথুস খানিকটা ধীরগতিতে ক্রিজে এসেছিলেন। সাকিব বল হাতে প্রস্তুত ছিলেন। ওই সময় ম্যাথুস তার হেলমেটে অসঙ্গতি অনুভব করেন। ড্রেসিংরুমে হেলমেট আনার ইঙ্গিত দেন। এতে দুই মিনিটের বেশি সময় চলে যায়। সাকিব আম্পায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আম্পায়ার আউট দেন। ম্যাথুস বারবার বোঝাচ্ছিলেন তিনি প্রস্তুত ছিলেন, হেলমেটের জন্যই এই বিলম্ব।
ম্যাথুস আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরলেও এই নিয়ে আলোচনা থেমে থাকেনি। এই ম্যাচের ধারাভাষ্যকার হিসেবে ওয়াকার ইউনুস, রাসেল আরনল্ডরা সাকিবকে পরোক্ষভাবে সমালোচনাই করেছেন। তারা বলেছেন, ‘এ রকম অখেলোয়াড়িসুলভ আচরণ দেখেননি কখনো।’
এ ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় সাকিবকে নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। সামাজিক যোগযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) নিজের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টে স্টেইন সাকিবের এমন আবেদনের পরোক্ষ বিরোধিতা করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘বেশ, এটি মোটেও শোভনীয় (কুল) নয়।’
অনেকে আবার সাকিবের বুদ্ধিমত্তার প্রশংসাও করেছেন। আইনে টাইমড আউটের বিধান রয়েছে, সাকিব সেটার প্রয়োগ করেছে। আজকের ম্যাচটি বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা উভয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যে জিতবে তারা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার দৌড়ে এগিয়ে থাকবে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে সাকিবের এই আবেদনকে অনেকে অত্যন্ত প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার রমিজ রাজাও। এমনিতে স্লো ওভারের কারণে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ ম্যাথুসকে সময় দিলে আরও শাস্তির মুখে পড়তে পারত। সেদিক থেকে সাকিব দলনেতা সুলভ কাজই করেছেন।