এর আগে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জাতীয় মনিটরিং ও আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জাতীয় মনিটরিং ও আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চলতি মাসের ৫ তারিখে সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মোট ৯ হাজার ৪৬৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে দুই হাজার ৭২৫টি কেন্দ্র পরীক্ষায় অংশ নেবে। তিনি জানান, ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডর অধীনে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ১১ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন। এর মধ্যে ছাত্র পাঁচ লাখ ৩৩ হাজারজন এবং ছাত্রী পাঁচ লাখ ৯৪ হাজার ৬০১ জন। এসব পরীক্ষার্থীরা চার হাজার ৮৭০টি প্রতিষ্ঠান থেকে দুই হাজার ৭২৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
আর মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডর অধীনে আলিম পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন মোট ৮৮ হাজার ৭৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৪৭ হাজার ৫৯২ জন এবং ছাত্রী ৪৪ হাজার ৪৮৪ জন। পরীক্ষার্থীরা দুই হাজার ৬৮৫টি প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশ নেবেন ৪৫২টি কেন্দ্রে।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল, ডিপ্লোমা ইন কমার্স) পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন মোট দুই লাখ ৩৪ হাজার ৪৩৩ জন।
মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
এদিকে পরীক্ষা সম্পন্নের লক্ষ্যে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এসব নির্দেশনায় বলা হয়, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে নির্ধারিত সময়ের পর কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দিলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্বের কারণ একটি রেজিস্টারে লিখে ওই দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে।
পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না; শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন (তবে ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন)।
পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যেমন- পরীক্ষার্থী, কক্ষ পর্যবেক্ষক (ইনভিজিলেটর), মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, বোর্ডের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পরিদর্শন টিম, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য ছাড়া অন্য কেউই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।
অন্যদিকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রালপালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট বাড়ানো হয়েছে।