সকল থানায় নাগরিক নিরাপত্তা কমিটি গঠনের নির্দেশ

সকল থানায় নাগরিক নিরাপত্তা কমিটি গঠনের নির্দেশ
থানার কার্যক্রম পুনরুদ্ধার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দেশের প্রতিটি থানা এলাকায় নাগরিক নিরাপত্তা কমিটি গঠনের জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সব জেলা পুলিশ সুপার ও থানার অফিসার-ইনচার্জকে (ওসি) এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

শনিবার (১০ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স।

এতে বলা হয়, কমিটির প্রধান লক্ষ্য হবে আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো।

এ লক্ষ্যে কমিটি একটি অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করে মনিটরিং ও মূল্যায়নের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। কমিটির আওতাধীন এলাকার আইনশৃঙ্খলা পুনস্থাপনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও কমিটির সদস্যদের সমন্বয়ে যৌথ টহলের মাধ্যমে হানাহানি, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এলাকায় বিদ্যমান সামাজিক সংঘাত, বাড়িঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি নিরসনে নিবিড় ব্যক্তিগত যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নেবে নাগরিক নিরাপত্তা কমিটি। স্থানীয় জনসাধারণের জীবন, সম্পদ, স্থাপনা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উপাসনালয়সহ এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা নিয়মিত তদারকি করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এলাকার মাদক, ইভটিজিং সমস্যা নিরসনে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এছাড়া স্থানীয় বিভিন্ন ধর্মীয় রাজনৈতিক দল ও উপদলের মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনা নিরসন ও সম্প্রীতি স্থাপনের লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করবে কমিটি। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় সমন্বয়করা কমিটির আকার নির্ধারণ করবেন। গ্রহণযোগ্য আইনজীবী, বিচারক, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা, সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা, সিনিয়র নাগরিক, সর্বজন সমাদৃত স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, স্থানীয় জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনের সভাপতি বা সেক্রেটারি, স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, মানবাধিকারকর্মী, নারী অধিকারকর্মী ও এনজিও প্রতিনিধি কমিটির সদস্য হবেন।

কমিটি পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তা বিঘ্নকারীদের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলা; কেউ যেন কোনো ধরনের উসকানি দিয়ে পরিবেশ ঘোলাটে করতে না পারে সেজন্য জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং পুলিশ সদস্যদেরকে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানসহ অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ করবে।