বর্তমানে কোটা সংস্কারের দাবীতে চলমান আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে মনে করেন না পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। চলমান আন্দোলনকে আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো বলেও অভিমত ব্যক্ত করেছেন তিনি।
রবিবার (১৪ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ অভিমত ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটার বিষয়টি হাইকোর্টের মাধ্যমে এসেছে। সরকার শিক্ষার্থীদের ওপর সহানুভূতিশীল হয়ে পুরো কোটাই বাতিল করে দিয়েছিল এবং কোটা পদ্ধতি বাতিল করার পর কোটাবিহীনভাবেই চাকরিতে অন্তর্ভুক্তি হচ্ছিল। সরকার সেটিকে পুনর্বহাল করেনি বা সে ব্যাপারে সরকারের কোনো উদ্যোগও ছিল না।
তিনি বলেন, কিন্তু হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল সেটিকে পুনর্বহাল করতে হবে। আবার সেটিকে স্থগিত করা হয়েছে। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। যেহেতু আদালতের কারণে বিষয়টি সামনে এসেছে সমাধান আদালতের মাধ্যমেই হতে হবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, আদালতের একটি বিচারাধীন বিষয়ের ওপর সরকার কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। আদালত অবমাননা হবে। এখন যে আন্দোলন হচ্ছে সেটির কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে মনে করি না। এটি আসলে আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলিও বটে।
তিনি বলেন, সরকার সবসময় ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল এবং সে কারণে কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছিল। তবে বাতিল করার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক সমস্যাও দেখা দিয়েছে। যেমন দেখা যায় অনেক জেলা থেকে সরকারি চাকরিতে অনেক ক্যাডারে কেউ সুযোগ পাচ্ছে না। মেয়েদের অংশগ্রহণ কমে গেছে। এসব সমস্যা দেখা দিয়েছে, সরকার কিন্তু কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছিল।
এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি তো সবসময় চায়… নিজেদের তো কিছু করার ক্ষমতা নেই, তারা অপরের ঘাড়ে চেপে কোনসময় কোটার ওপর ভর করে, কোন সময় তেল-গ্যাসের ওপর ভর করে, কোন সময় আবার অন্য কিছুর ওপর ভর করে। বিএনপি এখান থেকে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের পর সুপ্রিম কোর্ট স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার জন্য আদেশ দিয়েছে। অর্থাৎ কোটা যে বাতিল সরকার করেছে সেটিই বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্ট। এরপরও যখন আন্দোলন হয় বুঝতে হবে এটির সঙ্গে রাজনীতি যুক্ত হয়েছে।