আওয়ামী লীগ অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ: কাদের

আওয়ামী লীগ অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ: কাদের

আওয়ামী লীগ দেশি-বিদেশি সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত বলে মন্তব্য করে দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ, অনেক বেশি শক্তিশালী।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে ধানমন্ডিতে তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর এমন মন্তব্য করেন কাদের।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর তো গেল, আওয়ামী লীগ কী মোকাবিলা করেনি? আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ, অনেক বেশি শক্তিশালী। আমরা যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্র, যেকোনো ধরনের আন্দোলনের নামে সহিংসতার সমুচিত জবাব দিতে প্রস্তুত।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে আমরা বিজয় অর্জন করি। কিন্তু এই বিজয় পূর্ণতা পায়নি যতক্ষণ না পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি বিজয়ের মহানায়ক শেখ মুজিব মুক্তি পান। তার অনুপস্থিতিতে বিজয় ছিল অসম্পূর্ণ। সেই অসম্পূর্ণ বিজয় পূর্ণতা পেয়েছিল আজকের ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকের এই দিনের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন একটি আদর্শ রাষ্ট্র। সেই আদর্শ রাষ্ট্র আমাদের অঙ্গীকার। সেই আদর্শ রাষ্ট্র আমরা প্রতিষ্ঠা করব।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বির্নিমাণ করব। আজকের এই দিনে আমাদের শপথ আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বির্নিমাণে ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার।

এর আগে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন সরকারপ্রধান।

মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ২৪ দিন পর পাকিস্তানে বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরেছিলেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। দিনটি জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

দিবসটি উপলক্ষে ভোরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবনসহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিবসের কর্মসূচি।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাসভবন থেকে পাকিস্তানি সেনারা আটক করে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায়। ওই রাতেই বাংলাদেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর শুরু হয় বর্বর হামলা। পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পূর্বমুহূর্তে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান বঙ্গবন্ধু। তার ডাকে বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তি সংগ্রামে।

নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর বিশ্ব জনমতের চাপে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার। মুক্তির পর তিনি লন্ডন যান। সেখান থেকে ১০ জানুয়ারি দিল্লি হয়ে পৌঁছান ঢাকায়।

More News...

দেশবাসী ও সমর্থকদের সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন তারেক রহমান

জনগণের নির্বাচিত সরকার না হলে কোনো খাতে সংস্কার সম্ভব নয়: তারেক রহমান