আন্তর্জাতিক বাজারে দফায় দফায় কমছে স্বর্ণের দর। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) স্বর্ণের দাম ১ শতাংশের বেশি কমেছে। এ নিয়ে টানা ২ স্বপ্তাহ নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটির দর কমলো। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, আগামী দিনে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখতে কিংবা বাড়াতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। খোদ ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল এই আভাস দিয়েছেন। তাতে চাপে পড়েছে বুলিয়ন মার্কেট।
আলোচ্য কার্যদিবসে স্পট মার্কেটে বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের দাম কমেছে ১ দশমিক ১ শতাংশ। প্রতি আউন্সের দর স্থির হয়েছে ১৯৩৬ ডলার ০৯ সেন্টে। সবমিলিয়ে চলতি সপ্তাহে মূল্যবান ধাতুটির মূল্য হ্রাস পেয়েছে ২ দশমিক ৮ শতাংশ। গত ৬ সপ্তাহের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।
একই কর্মদিবসে ফিউচার মার্কেটে মার্কিন বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের দাম নিম্নমুখী হয়েছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। আউন্সপ্রতি দর নিষ্পত্তি হয়েছে ১৯৩৭ ডলার ৭০ সেন্টে।
বিশ্বখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিটি ইনডেক্সের বাজার বিশ্লেষক ফাওয়াদ রাজাকজাদা বলেন, চলতি সপ্তাহে স্বর্ণের দরপতন ঘটেছে। যার মূল কারণ হলো ফেড চেয়ার পাওয়েলের ইঙ্গিত। এছাড়া গত কয়েক সপ্তাহে বুলিয়নে বিনিয়োগে ব্যবসায়ীদের ঝুঁকি বেড়েছে। দুঃসময়ের বন্ধু ধাতুটির দরে নিম্নগামিতার নেপথ্যে যা বড় ভূমিকা রেখেছে।
গত সপ্তাহে ২০০০ ডলারে ওঠে স্বর্ণের দাম। ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল যুদ্ধের জেরে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই ঊর্ধ্বমুখিতা তৈরি হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত দফায় দফায় দামি ধাতুটির দর কমেছে প্রায় ৭০ ডলার।
ইতোমধ্যে ১০ বছর মেয়াদি ইউএস ট্রেজারি ইল্ড এবং ডলার সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীদের কাছে আকর্ষণ হারিয়েছে স্বর্ণ।
কিটকো মেটালসের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক জিম ওয়েকফ বলেন, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা না বাড়লে কিংবা ইউএস অর্থনীতি দুর্বল না হলে নিকট মেয়াদে স্বর্ণের দাম আরও কমবে।