দেশজুড়ে বয়ে টানা তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। গরমে হাঁসফাঁস কমাতে বাসা বাড়িতে বেড়েছে এয়ার কন্ডিশনার/কুলারের কিংবা বাড়তি ফ্যানের ব্যবহার। পাশাপাশি ঘর কিংবা অফিসকে ঠাণ্ডা রাখতে চাপ পড়ছে এসির কম্প্রেসারে, যার প্রভাবে বেড়ে গেছে বিদ্যুতের চাহিদা।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের তথ্যমতে সপ্তাহের ব্যবধানে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে ৩ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বেশি।
চলতি মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১২ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট, যার বিপরীতে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমান ছিল ১৫ হাজার ৫১৪ মেগাওয়াট।
পরবর্তীতে ১৫ এপ্রিল বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ১৪ হাজার মেগাওয়াটে, যার বিপরীতে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমান ছিল ১৫ হাজার ৫৪৩ মেগাওয়াট।
তার একদিন পরেই ১৬ এপ্রিল বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ১৫ হাজার মেগাওয়াটে, যার বিপরীতে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমান ছিল ১৫ হাজার ৮৯০ মেগাওয়াট।
বিদ্যুতের চাহিদা কমে চাহিদা কিছুটা কমে ১৭ এপ্রিল তা নেমে আসে ১৪ হাজার ৭০০ মেগাওয়াটে, যার বিপরীতে উৎপাদন ছিল ১৬ হাজার ৪১১ মেগাওয়াট।
এরপর ১৮ ও ১৯ এপ্রিল বিদ্যুতের চাহিদা ১৭ এপ্রিলের চেয়ে সামান্য বেশি থাকলেও ২০ এপ্রিল, শনিবার বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটে।
তবে শনিবার বিদ্যুতের উৎপাদন ১৫ হাজার ৩৫৮ মেগাওয়াট হওয়ায়, ১৪২ মেগাওয়াটের লোডশেডিং দেওয়া হয়।
রোববার (২১ এপ্রিল) বিদ্যুতের চাহিদা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ২০০ মেগাওয়াটে, যা ছিল গত এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এর আগে, শনিবার এক ব্রিফিংয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, চলমান তাপপ্রবাহের কারনে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত হতে পারে।
সকল সংকট এড়িয়ে ভোক্তাদের চাহিদা পূরণ করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।