উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে সরকার কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চরম দারিদ্র্য বলে দেশে কিছু থাকবে না। সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার যে ঘোষণা দিয়েছে তার জন্য স্মার্ট জনগোষ্ঠীর দরকার। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে জানিয়ে তাদের সহযোগিতা চেয়েছেন সরকারপ্রধান।
মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে গাজীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৫তম সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গত প্রায় ১৫ বছরে দেশ কতটা এগিয়েছে এর চিত্র তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। তিনি জানান, আগামী ১ জুন বাজেট ঘোষণা করা হবে। সেই বাজেটের আকার হবে সাত লাখ কোটি টাকা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের এই যে অর্জন এটা সম্ভব হয়েছে একটি কারণে। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে। এরপর অনেক ঝড়-ঝাপ্টা এলেও একটা স্থিতিশীলতা রয়েছে। আর স্থিতিশীলতা থাকলেই দেশ উন্নত হয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যেকোনো উন্নয়নের জন্য দরকার একটি পরিকল্পনা। সেটা আমাদের রয়েছে। আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম তখন থেকেই এই পরিকল্পনা করি। ২০০৭ সালে আমি যখন জেলে যাই সেই সময়টা নষ্ট করিনি। আমি লিখে রেখেছিলাম, সরকারে গেলে কী করব। ২০২১ সালে বাংলাদেশকে একটি পর্যায়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। আমরা ২০২১ সালে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। ৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশ।
স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সাফল্যের চাবিকাঠি হিসেবে চিহ্নিত করেন প্রধানমন্ত্রী। সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চায় জানিয়ে তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য চাই স্মার্ট জনগোষ্ঠী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী আইইউটির গ্র্যাজুয়েটদের অভিনন্দন জানান। দেশ ও জাতির কল্যাণে তারা ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করেন। এছাড়া মুসলিম উম্মাহর কল্যাণেও তাদের ভূমিকা কামনা করেন।
সমাবর্তনে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) মহাসচিব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসেবে ব্রাহিম ত্বহা সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া সমাবর্তনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ৩৫তম সমাবর্তনে ২০১৮ সালের বিভিন্ন প্রোগ্রামের প্রায় ৫৫০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এছাড়া এদের সঙ্গে সমাবর্তনে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করা শিক্ষার্থীরাও।