শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সামনে রেখে শনিবার ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শপথ নেওয়ার পর প্রথম দিনই তিনি আনুমানিক ১০টি নির্বাহী আদেশে সই করতে পারেন বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে। কিন্তু ট্রাম্প জানালেন, তিনি ১০০ আদেশে সই করতে পারেন।
শনিবার ওয়াশিংটনের উদ্দেশে রওয়ানা হওয়ার আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজের সঙ্গে এসব কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, শপথ নেওয়ার দিন (শনিবার) তিনি রেকর্ডসংখ্যক নির্বাহী আদেশে সই করবেন। তবে কী ধরনের আদেশে সই করবেন, সে ব্যাপারে তিনি কোনো ইঙ্গিত দেননি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ‘তিনি কি সই করার ক্ষেত্রে শত ছাড়িয়ে যাবেন?’ এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘অন্তত ওই সংখ্যক নির্বাহী আদেশে সই করব।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, আগের মেয়াদে প্রথম দিন মাত্র একটি আদেশ জারি করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, যা ওবামাকেয়ার নিয়ে ছিল। এবার তাঁর পরিকল্পনা আরও বিস্তৃত।
নির্বাচনী প্রচারে যে কথাটি ট্রাম্প বারবার বলেছেন, সেটি হলো আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি অবৈধ অভিবাসীকে বিতাড়িত করবেন তিনি। এ ছাড়া মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের কাজ শেষ করবেন বলেও জানান। নিউইয়র্কে এক সমাবেশে তিনি বলেছিলেন, ‘প্রথম দিনেই আমি সবচেয়ে বড় নির্বাসন কার্যক্রম শুরু করব। অপরাধীদের আমাদের দেশ থেকে বের করে দেব।’
প্রথম দিন এই সংক্রান্ত কোনো নির্বাহী আদেশে সই করবেন তিনি। এমনটাই পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে এই পরিকল্পনা অভিবাসন বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। তারা বলছেন, এটি বাস্তবায়ন করা কৌশলগতভাবে কঠিন ও সামাজিকভাবে ক্ষতিকর হতে পারে।
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ম বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারী প্রত্যেককে নাগরিকত্ব প্রদান করা হয় ১৪তম সংশোধনীর অধীনে। ট্রাম্প এ নিয়ম প্রথম দিনেই বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছেন। এ ছাড়া বাইডেন প্রশাসনের উন্মুক্ত সীমান্ত নীতি বাতিল করার কথাও বলেছেন তিনি।
আমেরিকায় তেল খনন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন ট্রাম্প। ফক্স নিউজের হোস্ট শন হ্যানিটির সঙ্গে টাউন হলে সাক্ষাৎকারের সময় তিনি বলেন, ‘ড্রিল, ড্রিল, ড্রিল’। ট্রাম্পের মতে, আমেরিকায় তেলের উৎপাদন বাড়ালে জ্বালানি খরচ ব্যাপকভাবে কমে যাবে।