কারাদণ্ড দুই পেঁয়াজ ব্যবসায়ীকে

কারাদণ্ড দুই পেঁয়াজ ব্যবসায়ীকে

ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার পর থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে এক লাফে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। এ পরিস্থিতিতে শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে বাজার মনিটরিং করে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় দুই ব্যবসায়ীকে সাত দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, সকাল থেকেই বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। দাম বেশি নেওয়ায় দুজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এদিকে এক রাতের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে কেজি প্রতি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৩০ টাকায়। আর ভারতীয় পেঁয়াজের দামও ২০০ ছুঁয়েছে। পেঁয়াজের বাজারের এমন অস্থিতিশীলতায় দিশেহারা ক্রেতারা।

শনিবার জেলার গড়েয়া, ঠাকুরগাঁও রোড, লাহিড়ী খোচাবাড়ি বাজারসহ কয়েকটি বাজারে ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে এ বাজারগুলোতে ভারতীয় পেঁয়াজের আধিক্য। কোথাও দেশি পেঁয়াজের দেখা মেলেনি। আবার কোথাও পেঁয়াজ শূন্য বাজার।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, প্রতি ক্ষণে ক্ষণে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। এ জন্য পাইকাররা দেশি পেঁয়াজ ছাড়ছেন না। জেলার সব থেকে বড় গোবিন্দ নগর আড়তে ভোরে যে দাম ছিল তার থেকে দুপুরে মণপ্রতি ৮০০-১০০০ টাকা বেড়ে গেছে। বিকেল নাগাদ বাজারে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে।

কালিবাড়ি বাজারে কথা হয় ক্রেতা আব্দুর রহিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, দুই দিন আগেও দেশি পেঁয়াজ কিনলাম ১০০ টাকা করে। আজকে এসে দেখি সেটা ডাবল হয়ে গেছে। রাতের মধ্যেই বেড়ে গেল ১২০ টাকা।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. শিল্পী বলেন, এখন ভারতের পেঁয়াজ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বেশি দামে বিক্রি করা ছাড়া উপায় নেই। বাজারে পেঁয়াজের সংকট রয়েছে। যার ফলে এভাবে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।

More News...

উদ্যোক্তা গ্রুপের সহায়তায় যশোর শীতবস্ত্র বিতরণ

মহান বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছেন, নিউজ ফেয়ার সম্পাদক টি.এ.কে আজাদ।