ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, সড়ক, রেল এবং নৌ-মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার বেশি টাকা নিলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া অতীতে লাইসেন্স ছাড়া হেলপারদের দিয়ে গাড়ি চালিয়ে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। লাইসেন্সবিহীন কেউ গাড়ি চালালে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউন্টার ছাড়া অন্য কোথাও টিকিট বিক্রি হলে বিক্রয়কারীদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপি সদর দফতরে ‘পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীর সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, যাত্রী সাধারণের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন রাখা এবং ঈদের জামাত সুষ্ঠুভাবে আদায় করার জন্য সমন্বয় সভায়’এসব কথা বলেন তিনি।
কমিশনার বলেন, পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী দেড় কোটি লোক প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকা ছাড়বেন। সেটি যেন সুন্দর করতে পারি সেজন্য আমাদের আজকের এই সভা আয়োজন করা হয়। ঈদে নৌ-রেল-সড়ক সব কিছুতেই আমাদের নজর থাকবে, তবে সড়ক পথের প্রতি আমাদের বেশি গুরুত্ব দেওয়ার মতো বিষয়টি সভায় উপস্থিত বক্তাদের আলোচনায় উঠে এসেছে। তিনি আরও বলেন, ঢাকার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জ গাজীপুর জেলার সঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সমন্বয় খুব দরকার। এজন্য আমি অনুরোধ করব আমাদের ট্রাফিকের এবং ক্রাইমের ডিসিরা জেলার সীমান্তের যে ইউনিট আছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যে ম্যানেজমেন্ট গুলো আছে সেগুলো যেন ঠিকঠাক ভাবে করা হয়।
হাবিবুর রহমান বলেন, ঢাকা প্রবেশ ও বহি:গমনের জন্য ১১টি পথ রয়েছে। পথগুলোতে যেন আলাদাভাবে সবাই সুন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। মিটিং করেন, সিদ্ধান্ত নিয়ে সমন্বয় করেন। প্রয়োজনে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চালু করেন। নিজেদের প্রোগ্রাম শেয়ার করেন। রাস্তাঘাটের যে উন্নয়ন হয়েছে তাতে ঢাকা থেকে বেরিয়ে গন্তব্য পৌছাতে খুব কম সময় লাগবে। তবে ঢাকা থেকে বেড়োনোর কিছু জায়গায় সমস্যা আছে। এই কয়েকটি পয়েন্টে আমরা বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। এইসঙ্গে এই সমস্যাগুলো নিরসনে সকল কর্মকর্তাদের আমি অনুরোধ জানাচ্ছি।
কমিশনার বলেন, আমাদের আলোচনায় উঠে এসেছে ফিটনেসবিহীন গাড়ির একটি বিষয়। এখানে মালিক ও শ্রমিক সমিতির নেতৃবৃন্দ আছেন। সবাই একমত হয়েছেন কোনো অবস্থাতেই ফিটনেটবিহীন গাড়ি রাস্তায় আসবে না। এরপরেও এসব পুলিশের নির্দেশ দেওয়া আছে কোনোভাবেই এসব গাড়ি রাস্তায় চলতে না দেয়। লাইসেন্সবিহীন কেউ ড্রাইভ না করতে পারে সেটা নিয়ে মালিক সমিতির কর্মকর্তারা কথা বলেছেন। আমি অনুরোধ করবো দুর্ঘটনাবিহীন ঈদ করতে এ বিষয়ে আমাদের কর্মকর্তারা যারা যেখানে আছেন তারা ব্যবস্থা নিবেন।
এছাড়াও অধিক গতি, ধারণ ক্ষমতার অধিক যাত্রী বহন, ড্রাইভিং লাইন্সেন্স ও মূল ড্রাইভার না থাকার পর হেল্পার ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দিয়ে গাড়ি চালানো হয়। এসব রোধে জন্য সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।