পশ্চিম এশিয়ার দেশ ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে এখন চলছে ভোট গণনা। খন পর্যন্ত ভোট গণনায় পাওয়া ফল অনুযায়ী কট্টরপন্থী প্রার্থী সাইদ জালিলি এগিয়ে আছেন।
ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে শনিবার (২৯ জুন) সকালে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল আটটায় (বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টায়) ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শিডিউড অনুযায়ী টানা সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলার কথা। তবে এরপরও ভোটার উপস্থিতি থাকায় ভোটদানের সময় বাড়ানো হয়।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে থেকে জানা গেছে, দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অনুগত সাঈদ জালিলি ভোট গণনায় এগিয়ে রয়েছেন। তারপরেই অবস্থান করছেন সংস্কারপন্থী মাসুদ পাজেশকিন।
ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মোহসেন ইসলামী রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, এখন পর্যন্ত ১ কোটিরও বেশি ভোট গণনা করা হয়েছে। যার মধ্যে কট্টরপন্থী সাবেক পারমাণবিক আলোচক সাঈদ জালিলি ৪২ লাখ ৬০ হাজার ভোট পেয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাসুদ পাজেশকিন পেয়েছেন ৪২ লাখ ৪০ হাজার ভোট।
একাধিক নির্বাচনী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এবারের নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ৪০ শতাংশ ভোটার। দেশটির ধর্মীয় নেতারা যে পরিমাণ ভোটার উপস্থিতির আশা করেছিলেন, এটি তার চেয়ে অনেক কম। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, রাজধানী তেহরান এবং অন্যান্য শহরের ভোটকেন্দ্রগুলো খালি ছিল।
ইরানের নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যেসব প্রার্থী অংশ নেবেন তাদের মধ্যে কেউ যদি সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে চান তাহলে তাকে মোট ভোটের ৫০ শতাংশ বা তারও বেশি ভোট পেতে হবে। কোনও প্রার্থী এই ‘ম্যাজিক ফিগার’ স্পর্শ করতে না পারলে নির্বাচন গড়াবে রানঅফে। যেখানে সর্বোচ্চ ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এই রানঅফে যে প্রার্থী সর্বোচ্চ ভোট পাবেন তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।
প্রসঙ্গত, গত ২০ মে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ইব্রাহিম রাইসি। এরপর দেশটিতে আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ৬ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের আগ মুহূর্তে দু’জন নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেন। এর ফলে শুক্রবারের নির্বাচনে চার প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হয়।