বাংলাদেশের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে চিঠি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছয় সদস্য ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এই চিঠি দুটি বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করি না। আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারেও বাইরের হস্তক্ষেপ যুক্তিসংগত বলে আমরা মনে করি না। কারও চাপে নতি স্বীকার করব না।’
আজ বুধবার (১৪ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে একটি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ব্যাপারটি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখন বেগম জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে যতটা তাদের উদ্বেগ, তাঁকে নিয়ে রাজনীতি করাটাই এ যাবত তাদের বড় চর্চা বলে মনে করি। বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এক হাজার লোকের একটা মিছিলও করতে পারেনি। আন্দোলন করে বিএনপি খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ জন্য বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতাদের পদত্যাগ করা উচিত।’
জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ বিষয়টি উচ্চ আদালতে আটকে আছে। সরকার তো এখানে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে না। যেহেতু সেখান থেকে কোনো নির্দেশ আসেনি।’
বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই বাড়াতে জাতিসংঘের প্রতি হিউম্যান রাইটস ওয়াচের চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা কি হিউম্যান রাইটসের আদর্শে চলি? তাদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী আমরা চলি? আমাদের উন্নয়ন, আমাদের উন্নতি, আমাদের সমৃদ্ধি, আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ, আমাদের এখনকার স্মার্ট বাংলাদেশ পরিকল্পনা কি তাদের কথায় করি? আমরা তো এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’