আড়ি পাতার বৈধতা পেল গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই

আড়ি পাতার বৈধতা পেল গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই

এবার পাকিস্তানের যেকোনো নাগরিকের ফোনালাপে আড়ি পাতার বৈধতা পেয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। এতে দেশটির রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর ভূমিকা আরও পোক্ত হলো। স্বাধীনতার পর থেকে প্রায় অর্ধেক সময়ই দেশটির ক্ষমতায় ছিল সামরিক বাহিনী।

এদিকে পাকিস্তান সরকারের এই অনুমোদনে উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে দেশটির মানবাধিকার কমিশন এইচআরসিপি। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাকে নাগরিকদের ফোনালাপ ট্রেস করার বা আড়ি পাতার যে বৈধতা দেওয়া হয়েছে তা সুস্পষ্ট অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেছে এইচআরসিপি। সংস্থাটির একটি এক্স বার্তায় বলা হয়েছে- জাতীয় নিরাপত্তার নামে নাগরিকদের ফোনালাপে আড়ি পাতার যে অনুমোদন করেছে সরকার তাতে পাকিস্তান মানবাধিকার কমিশন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ।

 

পাকিস্তানে সরকারকে ক্ষমতায় রাখা বা সরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে দেশটির শক্তিশালী সামরিক বাহিনী অতিমাত্রায় ভূমিকা রেখে আসছে। ফলে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সকে (আইএসআই) বাড়তি ক্ষমতা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে বিরোধী দল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।

তবে দেশটির সরকার বলছে, দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ক্ষোভ জানিয়েছে সাধারণ নাগরিকসহ দেশটির বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। তারা বলছে এতে করে নাগরিকদের গোপনীয়তা এবং মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্রে দেশের সংবিধানকে অবমাননা করেছে সরকার।

আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার পার্লামেন্টকে জানান, ৮ জুলাই এক অফিস আদেশে তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে এ পরিবর্তন আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

গত মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যে কেউ এই আইনের অপব্যবহার করবে, তাকে শাস্তি পেতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের ওপর নজরদারিতেই আইনটি সীমাবদ্ধ থাকবে। এতে জনগণের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন যাতে না হয়, সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

পার্লামেন্টে সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। এ বিষয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন পিটিআই নেতা ওমর আইয়ুব। তিনি জানান, গোয়েন্দা সংস্থাটি তাদের এ ক্ষমতা সরকারি দলের আইনপ্রণেতাদের বিরুদ্ধেও ব্যবহার করতে পারে। পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআরের কাছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এসব বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে কোনো সাড়া মেলেনি।